উচ্চ সম্ভাবনা থাকা স্ক্রিনিং এর ফলাফলের পর আপনার পছন্দ বেছে নেওয়ার সুযোগগুলো
হালনাগাদ করা হয়েছে 23 এপ্রিল 2024
Applies to England
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (PHE) এই তথ্যটি এনএইচএস-এর পক্ষ থেকে তৈরি করেছে। এই তথ্যাবলীতে ‘আমরা’ শব্দটির মাধ্যমে স্ক্রিনিং প্রদানকারী এনএইচএস পরিষেবাকে বোঝানো হচ্ছে।
এই লিফলেটটি সিঙ্গেলটন (শুধুমাত্র একটি বাচ্চা) ও টুইন বাচ্চা নিয়ে গর্ভবতী থাকা মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য যাদের কম্বাইন্ড বা কোয়াড্রপল স্ক্রিনিং টেস্টে উচ্চ সম্ভাবনা থাকার ফলাফল এসেছে। এসব টেস্টগুলো ডাউন’স সিন্ড্রোম (এটি ট্রিজমি 21 বা টি21 নামে পরিচিত), এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম (ট্রিজমি 18 বা টি18)বা পাতাউ’স সিন্ড্রোম (ট্রিজমি 13 বা টি13) এর জন্য করা হয়।
আপনি যদি এই পরিস্থিতিতে থাকেন তাহলে আপনার জন্য 3 টি উপায় রয়েছে। আপনি যা করতে পারেন:
- আর কোন টেস্টিং না করাতে চাইতে পারেন
- আরও নির্ভুল একটি স্ক্রিনিং টেস্ট-নন ইনভেসিভ প্রিন্যাটাল টেস্টিং (এনআইপিটি)- যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে সমস্যাটি হবে কি হবে না
- একটি ইনভেসিভ ডায়াগনস্টিক টেস্ট- ক্রনিক ভিলুয়াস স্যাম্পলিং (সিভিএস) বা অ্যামনিসেন্টেসিস- যার মাধ্যমে আপনি সুনিশ্চিত একটি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ উত্তর জানতে পারবেন
এই লিফলেটটিতে এসব 3টি অপশনগুলো সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এগুলো ]নিম্নোক্ত ফ্লো চার্টটিতে[(#flowchart) সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এটি ডাউন সিনড্রোম, এডওয়ার্ড সিনড্রোম ও পাতাউস সিনড্রোমের ব্যাপারে তথ্য প্রদান করে। আপনার স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।
আপনার অপশনগুলোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনার জন্য আপনাকে সময় দেওয়া উচিত। আপনি আরও তথ্য জানতে চাইতে পারেন এবং সরাসরি আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই।
এটি আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার সিদ্ধান্তের মান রাখা হবে এবং পেশাগত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীরা আপনার সাহায্য করবেন।
যদি আপনার সিদ্ধান্তের মান রাখা হচ্ছে না তাহলে আপনাকে সে কথা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা উচিত।এনএইচএস ওয়েবসাইটে আরও তথ্য দেখুন।
এই ফ্লো চার্টটিতে আপনার অপশনগুলো দেখানো হয়েছে।
যে কোনো স্ক্রিনিং বা ডায়াগনস্টিক টেস্ট থেকে যে ফলাফলই আসুক না কেন আপনার পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আপনি সহায়তা ও পরিচর্যা পাবেন।
শুধুমাত্র তথ্য জানার জন্য চাইলেও আপনি যেকোনো টেস্ট করাতে পারেন এমনকি এর ফলাফলের উপর নির্ভর করে আপনার গর্ভধারণ চালিয়ে যাওয়া বা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলেও।
সহায়তার জন্য আপনি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
1. এই অবস্থাগুলোর বিষয়ে
ডাউন’স সিন্ড্রোম, এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম বা পাতাউ’স সিন্ড্রোম নিয়ে একটি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা সব মহিলাদের ক্ষেত্রে রয়েছে। আপনি বা আপনার জীবনসঙ্গী এমন কিছু করেছেন বা না করার কারণে এই সম্ভাবনার কোন হেরফের হয় না।
সমস্যাটি বাচ্চাটির উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে সেটি অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল এবং বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পূর্বে সেটি অনুমান করা যাবে না।
1.1 ডাউন সিন্ড্রোম (ট্রিজমি 21)
ডাউন’স সিন্ড্রোম নিয়ে জন্ম নেয়া সব লোকজনের লার্নিং ডিজেবিলিটি থাকে। এর মানে হল বেড়ে উঠা ও নতুন নতুন জিনিষ শেখার জন্য তাদের লম্বা সময় লাগতে পারে। ডাউন সিন্ড্রোম থাকা বাচ্চারা কীভাবে শিখে সে ব্যাপারে এখন ভালো ধারণা রয়েছে। স্কুলে সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে।
সমাজে অন্তর্ভুক্তীকরণের সুযোগ এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। একেক জনের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন হতে পারে তবে একেক জনের চাহিদা একেক রকম। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার আগে এসব চাহিদা আঁচ করা যায় না।
ডাউন’স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত লোকজনদের মধ্যে কিছু কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা সচরাচর দেখা যায়। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে হার্টের সমস্যা ও দৃষ্টি শক্তি ও শ্রবণ শক্তিজনিত সমস্যা। অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা করা যেতে পারে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রায় 5% শিশুরা তাদের প্রথম জন্মদিনের চেয়ে বেশি বাঁচবে না। কোন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা নেই এমন সকল শিশুদের জীবন কাল অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদের সমান হবে। ডাউন’স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত অধিকাংশ ব্যক্তিরা 60 বছর বা তার চেয়েও বেশি বয়স পর্যন্ত জীবন যাপন করবেন।
ডাউন’স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত অধিকাংশ লোকজন স্বাস্থ্যবান ও পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন। পিতামাতারা বলেছেন যে তাদের বাচ্চাদের পারিবারিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। সাহায্য সহযোগিতা প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে অধিক সংখ্যক লোকজনেরা চাকরি পেতে পারেন, অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন এবং তাদের পছন্দমত বাসাতে থাকতে পারেন।
ডাউন’স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও বাচ্চাদের ছবি আরও তথ্য এনএইচএস ওয়েবসাইটে দেখুন।
এছাড়া ডাউন’স সিন্ড্রোম অ্যাসোসিয়েশনগর্ভবতী মহিলা ও কাপলদেরকে তথ্য প্রদান করে। ডাউন সিন্ড্রোম সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে শোনা ও আরও তথ্য প্রদানের ব্যাপারে তারা অভিজ্ঞ ও সময় দিতে পারবে। তাদের হেল্পলাইন নম্বরটি হল 0333 12 12 300।
1.2 এডওয়ার্ড’স সিনড্রোম (ট্রিজমি 18) পাতাউ’স সিন্ড্রোম (ট্রিজমি 13)
- কেবল এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম ও পাতাউ’স সিন্ড্রোম নিয়ে পরিপূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব নয় হিসেবে দেখা হয়। এর মানে হল একটি বাচ্চা কতদিন জীবিত থাকবে সেটি এর কারণে প্রভাবিত হতে পারে। দুঃখজনকভাবে বেঁচে থাকার হার কম এবং যে সকল শিশুরা জীবন্ত জন্মায় তাদের মধ্যে এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত কেবল 13% এবং পাতাউ’স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত কেবল 11% তাদের প্রথম জন্মদিনের চেয়ে বেশি লম্বা জীবন যাপন করবে। যেসব বাচ্চারা একবছর পর্যন্ত বেচে থাকে তাদের 80% সম্ভাবনা রয়েছে 5 বছর বেচে থাকার। কিছু কিছু শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে তবে সেটি বিরল।
এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম ও পাতাউ’স সিন্ড্রোম নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের লার্নিং অক্ষমতা থাকবে এবং তাদের নানাবিধ শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হবে, এই সমস্যাগুলোর কিছু কিছু খুবই মারাত্মক হতে পারে। তাদের হার্টের সমস্যা হতে পারে, খাবার খেতে ও খাওয়ানোতে অসুবিধা হতে পারে, খিচুনি ও শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে শ্বাস প্রশ্বাসে ‘পজেজ’ (অ্যাপোনিয়া)। এছাড়া জন্মের সময় তাদের ওজনও কম হতে পারে।
তাদের সমস্যা সত্ত্বেও, ছেলে-মেয়েরা তাদের বিকাশে ধীরে-ধীরে উন্নতিসাধন করতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশী বয়সী শিশু ও বাচ্চারা কিছু কিছু যোগাযোগ বা ভাব বিনিময় করতে পারে এবং অনেকে দাড়াতে শিখবে এবং সাহায্য নিয়ে হাটতে পারবে। অপেক্ষাকৃত বয়স্ক বাচ্চারা একটি বিশেষায়িত স্কুলে যাবে।
এডওয়ার্ড’স সিনড্রোম এবং ]পাতাউ’স সিন্ড্রোমে[(https://www.nhs.uk/conditions/pataus-syndrome/) আক্রান্ত বাচ্চাদের ছবি ও আরও তথ্য জানতে এনএইচএস ওয়েবসাইটটি দেখুন।
এডওয়ার্ড’স সিনড্রোম ও পাতাউ’স সিন্ড্রোমের দ্বারা প্রভাবিত পরিবারদেরকে সফট সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করে।
2. অধিকতর পরীক্ষা না করা
আপনি যদি আর কোনো টেস্ট করাতে না চাইলেও নিত্য প্রসবপূর্ব (অ্যান্টিন্যাটাল) অন্যান্য সব পরিষেবাগুলো আপনাকে অফার করা হবে। আপনার জন্য এর অর্থ কী সেটি আপনার মিডওয়াইফ আপনাকে ব্যাখ্যা করে বলবেন।
3. [এনআইপিটি]: নন-ইনভেসিভ প্রিন্যাটাল টেস্টিং
নন-ইনভেসিভ প্রিন্যাটাল টেস্টিং (এনআইপিটি) হল প্রথম স্ক্রিনিং টেস্টটির চেয়ে আরও অধিকতর নিখুঁত একটি টেস্ট (কম্বাইন্ড বা কোয়াড্রিপল টেস্ট)। এই টেস্টটির জন্য আপনার বাহু থেকে কিছু রক্ত নেওয়া হয়। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এর ফলে আপনার শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না।
এনআইপিটি এর মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বলা যাবে না যে শিশুর ডাউন’স সিন্ড্রোম, এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম বা পাতাউ’স সিন্ড্রোম আছে কি না। যে কোনো স্ক্রিনিং টেস্টের মত এনআইপিটি এর মাধ্যমে সুনিশ্চিত কোনো কিছু জানা যায় না। অন্যান্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে এই টেস্টটি ব্যবহার করা হবে না এবং এর মাধ্যমে জানা যাবে না যে আপনার শিশুটি একটি ছেলে না মেয়ে। এনএইচএস স্ক্রিনিং এর অংশ হিসেবে এনআইপিটি আপনার গর্ভধারণের সর্বোচ্চ 21+6পর্যন্ত অফার করা হবে।
4. এনআইপিটি কীভাবে কাজ করে
আপনার রক্তের ডিএনএ (জিনগত উপাদান) পরিমাপের মাধ্যমে এনআইপিটি কাজ করে। নাভির নাড়ীর সাথে মাতৃগর্ভে প্ল্যাসেন্টাতে আপনার বাচ্চা জড়িয়ে থাকে। আপনার গর্ভধারণকালীন সময় প্ল্যাসেন্টা থেকে কিছু ডিএনএ নিঃসরিত হয়ে আপনার শরীরের রক্তপ্রবাহের সাথে মিশে যায়। এর ফলে আপনার রক্তের মধ্যে আপনার ও আপনার বাচ্চার প্ল্যাসেন্টা থেকে ডিএনএর একটি মিশ্রণ তৈরি হয়।
একটি এনআইপিটি পরীক্ষায় যদি দেখা যায় যে আপনার রক্তে ক্রোমোজোম 21, 18 বা 13 এর জন্য প্রত্যাশিত ডিএনএর চেয়ে বেশী পরিমাণ ডিএনএর উপস্থিতি থাকে তাহলে এর মানে হতে পারে বাচ্চাটির শরীরে কোনো না কোনো সমস্যাটি রয়েছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্ল্যাসেন্টার ডিএনএ বাচ্চার ডিএনএর মত একই হবে। এনআইপিটি 100% সঠিক না হওয়ার পেছনে একটি কারণ হল এটি প্ল্যাসেন্টার ডিএনএ পরীক্ষা করে এবং বিরল ক্ষেত্রে এটি বাচ্চাটির ডিএনএর মত একই হয় না। এটিকে কনফাইন্ড প্ল্যাসেন্টাল মোজায়িসিজম বলা হয়।
জেনে রাখবেন যে এনআইপিটি ল্যাবরেটরিতে এনআইপিটির জন্য নেওয়া রক্তের নমুনাগুলো মানদণ্ড বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ 5 বছর পর্যন্ত রাখা হতে পারে। এনআইপিটির রক্তের নমুনা এভাবে সংরক্ষণ করতে না চাইলে সেটি অনুগ্রহ পূর্বক আপনার মিডওয়াইফকে জানান।
5. এনআইপিটি পছন্দ বেছে নেওয়া
আপনি যদি একটি এন আই পিটি করাতে চান তাহলে:
- 3টি সমস্যার সবগুলোর জন্য করাতে পারেন
- কেবল ডাউন’স সিন্ড্রোম
- কেবল এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম ও পাতাউ’স সিন্ড্রোম
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে আপনার উচিত হবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের সাথে এটি নিয়ে আলোচনা করা। বিশেষত, প্রথম স্ক্রিনিং টেস্টে (কম্বাইন্ড বা কোয়াড্রিপল টেস্ট)আপনার ফলাফলে যদি উচ্চ মাত্রার সম্ভাবনা থাকে (‘প্রতি 2 জনের মধ্যে 1’ এর মধ্যে প্রতি ‘10 জনের মধ্যে 1’), এনআইপিটির সুবিধা অপেক্ষাকৃত কম স্পষ্ট।
এনআইপিটি সবার জন্য উপযুক্ত না হতে পারে। এটি আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা সেটি জানার জন্য আপনার উচিত আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পেশাজীবীদের সাথে আলোচনা করা।
6. এনআইপিটি ফলাফল
এনআইপিটির ফলাফল টেলিফোনের মাধ্যমে বা সরাসরি জানতে চাওয়ার অপশনটি আপনি বেছে নিতে পারেন। আপনি কীভাবে সেটি জানতে পছন্দ করেন সেটি নিয়ে আপনি আপনার মিডওয়াইফের সাথে কথা বলুন। অধিকাংশ মায়েরা তাদের ফলাফল এনআইপিটি সম্পন্ন হবার 2 সপ্তাহের মধ্যে পাবেন।
আপনার এনআইপিটির স্ক্রিনিং এর পছন্দ বেছে নেওয়ার উপর ভিত্তি করে আপনি সর্বোচ্চ 3 টি ফলাফল জানতে পারবেন। আপনি জানতে পারেন:
- একটি হল ডাউন’স সিন্ড্রোম এবং একটি হল ইডওয়ার্ড’স এবং একটি হল পাতাউ’স সিন্ড্রোম।
- ডাউন’স সিন্ড্রোমের জন্য একটি, বা
- একটি এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম ও একটি পাতাউ’স সিন্ড্রোমের জন্য
এটি মনে রাখা জরুরী যে এন আইপিটি এখনও পর্যন্ত একটি স্ক্রিনিং টেস্ট। ফলাফলে জানানো হবে এই বলে যে সমস্যাটির জন্য স্ক্রিনিং করা হয়েছে সেটিতে ভোগার হয় উচ্চ সম্ভাবনা বা স্বল্প সম্ভাবনা রয়েছে।
এই টেস্টটি সম্পন্ন করা অধিকাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে এনআইপিটি একটি নির্ভুল ফলাফল প্রদান করবে তবে অনেকসময় ভুল পজিটিভ ও নেগেটিভ ফলাফল আসতে পারে। একটি ভুল পজিটিভ ফলাফলের মানে হল বাচ্চাটির সমস্যাটি না থাকলেও ফলাফলে দেখা যাবে যে সমস্যাটিতে ভোগার তার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ভুল নেগেটিভ ফলাফলের মানে হল বাচ্চাটির সমস্যাটি থাকার পরেও ফলাফলে দেখা যাবে সমস্যাটিতে ভোগার তার কম সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য প্রমাণে দেখা যায় যে এনআইপিটি টেস্টটি এডওয়ার্ড সিনড্রোম ও পাতাউস সিনড্রোমের চেয়ে ডাউন সিনড্রোমের সনাক্তের ক্ষেত্রে কম নির্ভুল হয়। যদিও বলা হয়েছে যে এমনটি হবার পেছনে যে কারণ রয়েছে তা হল এসব বাচ্চাদের অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের প্ল্যাসেন্টা থাকা, তবে কারণগুলো পুরোপুরি জানা যায়নি। এছাড়া টুইন প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে এনআইপিটি অপেক্ষাকৃত কম নির্ভুল হতে পারে।
সবসময়ের জন্য আমাদের পরামর্শ হল আপনি আপনার এনআইপিটির ফলাফল নিয়ে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পেশাজীবীদের সাথে কথা বলবেন।
6.1 কম সম্ভাবনা থাকা ফলাফল
এনআইপিটি টেস্ট করানো অধিকাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে কম সম্ভাবনা থাকা ফলাফল আসবে। এনআইপিটি হল একটি স্ক্রিনিং টেস্ট সুতরাং এটি 100% নির্ভুল নয় তবে এতে খুব সামান্য কিছু ভুল নেগেটিভ ফলাফল আসে। কম্বাইন্ড বা কোয়াড্রিপল টেস্টটি সম্পন্নের পর আপনার যদি উচ্চ সম্ভাবনা থাকা ফলাফল আসে (যেমন ‘প্রতি 2 জনের মধ্যে 1’ এবং ‘প্রতি 10 জনের মধ্যে 1’) তখন সচরাচর ভুল নেগেটিভ ফলাফল আসে। সুতরাং কম সম্ভাবনা থাকা একটি এনআইপিটি ফলাফল আসা কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের বাচ্চার যে কোনো একটি সমস্যা থাকতে পারে। একটি কম সম্ভাবনা থাকা এনআইপিটি ফলাফল আসার পর আপনাকে একটি ডায়াগনস্টিক টেস্ট করতে বলা হবে না। আপনি সচরাচর প্রসূতি পূর্ব পরিষেবা পাওয়া চালিয়ে যাবেন।
6.2 উচ্চ সম্ভাবনা থাকা ফলাফল
উচ্চ সম্ভাবনা থাকা একটি এনআইপিটি ফলাফল আসার মানে এই নয় যে বাচ্চাটির নিশ্চিত সমস্যা রয়েছে তবে এটি থাকার সম্ভাবনা বেশী। এনআইপিটি টেস্টে একটি উচ্চ সম্ভাবনা থাকা ফলাফল আসা মহিলাদের মধ্যে কমপক্ষে 90% এর ক্ষেত্রে (প্রতি 10 জনের মধ্যে 9 জনের) তাদের বাচ্চার ডাউন সিন্ড্রোম থাকবে।
উচ্চ সম্ভাবনা থাকা এনআইপিটির ফলাফল আসলে আপনাকে ডায়াগনস্টিক টেস্ট করানোর জন্য অফার করা হবে। তবে আপনি চাইলে আর কোনো টেস্ট না করাতে চাইতে পারেন।
6.3 কোন ফলাফল না আসা
সামান্য সংখ্যক ক্ষেত্রে এনআইপিটি টেস্টে কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না। কোনো ফলাফল না পেলে সেক্ষেত্রে আপনি আরোও একটি এনআইপিটি টেস্ট, একটি ডায়াগনস্টিক টেস্ট বা আর কোনো টেস্ট না করানোর পছন্দ বেছে নিতে পারেন। টেস্টটির সাথে সম্পর্কিত কোন কিছুর কারিগরি ত্রুটির কারণে কোনো ফলাফল না আসার জন্য দায়ী হতে পারে। এছাড়া রক্তের নমুনাতে পর্যাপ্ত ডিএনএ উপস্থিত না থাকার কারণেও এমন ফলাফল আসতে পারে, যেমন আপনার বডি ম্যাক্স ইনডেক্স 30 এর উপর এবং আপনি গর্ভে টুইন বেবি রয়েছে।
আপনি যদি উচ্চ সম্ভাবনা থাকা একটি ফলাফল বা কোনো ফলাফল না পান সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পেশাজীবীরা আরও তথ্য ও সহায়তা প্রদান করবেন।
7. ডায়াগনস্টিক টেস্ট
আপনি সরাসরি একটি ডায়াগনস্টিক টেস্ট করাতে পারেন বা এনআইপিটি ফলাফল পাওয়ার পর টেস্টটি করাতে পারেন।
ডায়াগনস্টিক টেস্ট এ একটি সুনির্দিষ্ট উত্তর জানা যায়। এর মাধ্যমে আপনার শিশুটির শরীরের চারিদিকে থাকা প্ল্যাসেন্টা বা ফ্লুয়িড থেকে নেওয়া কোষের পরীক্ষা করা হয়। ডায়াগনস্টিক টেস্টটি ডাউন’স সিন্ড্রোম, এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম বা পাটাউ’স সিন্ড্রোম এর বাইরের সমস্যাও চিহ্নিত করতে পারে তবে তার সম্ভাবনা বিরল।
ডায়াগনস্টিক টেস্ট করা প্রতি 200 জনের মধ্যে 1 জন (0.5%) মহিলার অকাল গর্ভপাত হবে।
2 ধরণের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা রয়েছে: কোরিওনিক ভিউলুস স্যাম্পলিং (সিভিএস) এবং অ্যামনিওসেন্টেসিস আপনার স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা অপশনগুলো নিয়ে আপনার সাথে কথা বলবেন।
7.1 সিভিএস (কোরিওনিক ভিউলুস স্যাম্পলিং)
এটি সাধারণত গর্ভধারণের 11 থেকে 14 সপ্তাহের মধ্যে করা হয় তবে এর পরেও করা যায়। সাধারণত সূক্ষ্ম একটি সূচ মায়ের পেটের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে প্ল্যাসেন্টা থেকে অতি ক্ষুদ্র একটি টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আনুমানিক 3 দিনের মধ্যে আপনি সিভিএসের প্রথম ফলাফলটি পাবেন এর মাধ্যমে যদি এনআইপিটি ফলাফল নিশ্চিত হওয়া যায় এবং প্রাসঙ্গিক স্ক্যান সম্পন্ন হলে অপশনগুলো নিয়ে আপনার ডাক্তার সরাসরি আপনার সাথে কথা বলবেন। তবে, আপনার স্ক্যানে প্রাসঙ্গিক কোনো কিছু পাওয়া না গেলে আপনি আপনার প্রেগন্যান্সি চালিয়ে যাবেন বা না যাবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে আমাদের পরামর্শ হল আপনি 2 সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় সিভিএস ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবেন।
এর কারণ হল দ্বিতীয় স্ক্যানটির ফলাফলে প্ল্যাসেন্টার বিষয়টি না বরং বাচ্চার ডিএনএর প্রতিফলন ঘটে এবং এটি] কনফাইন্ড প্ল্যাসেন্টাল মোজায়িসিজম[ (#cpm) এর দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
7.2 অ্যামনিয়োসেন্টিসিস
এটি সাধারণত গর্ভধারণের 15 সপ্তাহ পরে করা হয়। সূক্ষ্ম একটি সূচ মায়ের পেটের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করিয়ে মায়ের জরায়ু থেকে শিশুটিকে ঘিরে থাকা তরলের সামান্য একটু নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অ্যামনিয়োসেন্টিসিস ফলাফল সচরাচর প্রায় 3 দিনের মধ্যে জানা যায়। এর মাধ্যমে বাচ্চাটির ডিএনএর প্রকৃত চিত্র উঠে আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি সিভিএস না করিয়ে অ্যামনিয়োসেন্টিসিস করানোর জন্য অপেক্ষা করা অধিকতর যুক্তিযুক্ত হবে।
8. অব্যাহত সহায়তা ও পরিচর্যা
ডায়াগনস্টিক টেস্টের ফলাফল আসার পর পরবর্তী করনীয় কি সে ব্যাপারে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। আপনার নিজের ও আপনার পরিবারে জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কোনটি সেটি শুধুমাত্র আপনিই জানবেন।
ডাউন’স সিন্ড্রোম, এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম বা পাতাউ’স সিন্ড্রোম সম্পর্কে আপনি হয়ত আরো বেশী জানতে চাইতে পারেন। পিতামাতাদের জন্য সহায়তা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বললে উপকারে আসতে পারে। আপনি যদি মনে করেন যে এতে উপকার হবে তাহলে এসব গ্রুপ আপনাকে এমন কারো সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারবেন যিনি ইতঃপূর্বে একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছেন। পেছনের পৃষ্ঠাতে যোগাযোগের বিবরণ রয়েছে।
প্রেগন্যান্সি ধরে রাখবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনি যদি আপনার প্রেগন্যান্সি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আপনার পরিচর্যার বিষয়টি এবং গর্ভধারণকালীন সময় ও জন্মের পর আপনার বাচ্চাকে কীভাবে সর্বোত্তম পরিচর্যা প্রদান করা যায় সেটি নিয়ে আপনার ডাক্তার বা মিডওয়াইফ আপনার সাথে কথা বলবেন।
আপনি যদি আপনার প্রেগন্যান্সিটি অব্যাহত না রাখতে চান তাহলে এর সাথে জড়িত বিষয়গুলোর ব্যাপারে এবং কীভাবে আপনাকে সহায়তা প্রদান করা হবে সে ব্যাপারে আপনাকে তথ্য প্রদান করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে গর্ভপাত করানোর উপায়গুলো থেকে আপনার পছন্দটি বেছে নেওয়ার ব্যাপারে তথ্য।
আপনার সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী পেশাজীবীরা আপনাকে সহায়তা প্রদান করবেন।
9. সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ
এআরসি হল একটি জাতীয় দাতব্য সংস্থা যারা স্ক্রিনিং ও ডায়াগনস্টিক সংক্রান্ত ব্যাপারে এবং প্রেগন্যান্সি অব্যাহত রাখা না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন এমন লোকজনদেরকে সহায়তা প্রদান করে। আপনি তাদেরকে 020 713 7486 নম্বরে কল করতে পারেন।
ডিএসএ (দ্য ডাউন’স সিন্ড্রোম অ্যাসোসিয়েশন)পিতামাতাদের জন্য তথ্য ও সহায়তা প্রদান করে থাকে। আপনি তাদেরকে 0333 12 12 300 নম্বরে কলে করতে পারেন।
সফট এডওয়ার্ড’স সিন্ড্রোম ও পাতাউ’স সিন্ড্রোমের ব্যাপারে পরিবারদেরকে তথ্য ও সহায়তা প্রদান করে।